মাইগ্রেন, নাকি সাধারণ মাথাব্যথা?

নিরু পুরোহিত ৩৫ বছর বয়সী এক নারী। তিনি বেশ হাসিখুশি। একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু মাসে অন্তত একবার মাথাব্যথায় অস্থির হয়ে পড়েন। এ কারণে স্কুলেও যেতে পারেন না প্রায়ই। অথচ ১২ বছর হতে চললো তিনি মাইগ্রেনে ভুগছেন। এখন মনে পড়ে, বহু আগে একটু জোরে শব্দ হলে বা কেউ দরজায় টোকা দিলেও মাথাব্যথা শুরু হয়ে যেত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। এটা সবচেয়ে কমন মাথাব্যথা বলে জানান মুম্বাইয়ের ভাটিয়া হসপিটালের নিউরোলজিস্ট ড. নিতিন জি সম্পাত। আবার এ সমস্যা যত বেশি ধরা পড়ে, ততটাই অজানা থেকে যায়। এর কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ মাইগ্রেনকে
সাধারণ মাথাব্যথা বলে মনে করেন। মাইগ্রেন বনাম মাথাব্যথা : বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বাভাবিক মাথাব্যথার মতোই এর আগমন। অনেকের দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে আসে। আবার সব ধরনের মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয় বলে জানান সম্পাত। তবে মাইগ্রেনের ব্যথায় মাথার মধ্যে কিছুর স্পন্দন ঘটছে বলে মনে হয়। এখানে দেখে নিন মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা। ১. মাইগ্রেনের ব্যথায় অনেক সময় বমি আসে। ২. ব্যথা মাঝারি বা চরম হতে পারে। ৩. দেহের নড়াচড়ায় এ ব্যথা বাড়তে পারে। ৪. আলোতে ব্যথা আরো বাড়তে পারে। ৫. এটা একটানা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঝুঁকিতে যারা : ১৯ বছর বয়সী কলেজপড়ুয়ার ক্রমাগত মাথাব্যথা হয়। সারাক্ষণ কম্পিউটারে বসে থাকেন। তাই ভাবতেন এ কারণেই ব্যথা হয়। অথচ তার মাইগ্রেন সমস্যা রয়েছে। নারী-পুরুষভেদে অনেক কম বয়স থেকেই মাইগ্রেন হতে পারে। যেকোনো কারণেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বংশগত কারণ থেকে শুরু করে হরমোনঘটিত কারণেই মাইগ্রেন হতে পারে। যেভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে : অনেক সময় এ ব্যথা অসহনীয় হয়ে ওঠে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও বাদ দিতে হয় এ ব্যথার কারণে। ২৩ বছর বয়সী ফটোগ্রাফার শিরেশ রাইয়ের এমনই হতো। আবার দীর্ঘ সময় না খেলেও ব্যথা শুরু হতো। এরপর থেকে তিনি সঙ্গে হালকা খাবার রাখেন। আসলে মাইগ্রেনের ব্যথা সহ্য না করার মতো হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যেই এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

Comments