কেমন হল বিপাশার বিয়ে ...

নায়িকা বিপাশা বসু। বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি থেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসা পর্যন্ত সবকিছু থেকে বাঙালির নজর সরেনি এক মুহূর্তের জন্য৷ এ হন্তায় স্বপ্ননগরীতে যখন সাত পাকে ঘুরলেন নায়িকা , তখনও শহরের বাঙালিরা মনে করেছেন, এই তো ঘরের মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল ! এর আগেও এই ধরনের সাজে অবশ্য বিপাশাকে দেখেছে এ শহরের মানুষ৷ ছবির নাম 'সব চরিত্র কাল্পনিক '৷ লাল বেনারসী , কপালে চন্দন , গোল লাল টিপ - বিপাশাকে সেই সাজে সাজিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা ঘোষ৷ সেই ছবিতে বিপাশা যাঁর সঙ্গে সাত পাকে ঘুরে গৃহপ্রবেশ করেছিলেন তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়৷ আর সদ্য পেরনো উইকএন্ডে মুম্বাইয়ের সেন্ট রেগিস -এ যখন গভীর রাতে বর করন সিং গ্রোভারের হাতে হাত রেখে নিজের রিয়েললাইফ বিয়ে সেলিব্রেট করছিলেন বিপাশা, তখনও সেখানে বিশেষ অতিথি
হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁর 'কাল্পনিক '-এর নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়৷ কেমন ছিল সেই রাত ? অনর্গল প্রসেনজিৎ ... ওর বাবা -মা সবচেয়ে খুশি হয়েছে ...কাজের ব্যস্ততা চূড়ান্ত৷ আমন্ত্রণ যখন পাই তখন ঠিক ছিল না মুম্বাই-এ থাকব নাকি অন্য শহরে৷ কিন্তু 'ত্রিদেব ' ছবির ডাবিংয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত মুম্বাইয়ে ছিলাম সেদিন৷ এই ছবিতে বিপাশার বর, মানে করণ আমার সঙ্গে কাজ করছে৷ তো সেই সূত্রেও আমাদের পুরো ছবির ইউনিটেরই বিপাশা-করণের রিসেপশন পার্টিতে যাওয়ার কথা ছিল৷ পৌঁছতে বেশ রাত হল৷ রাত বারোটার পর সকলের সঙ্গে আরও গল্প শুরু হল৷ যতবার আমি বলছি, 'এবার আমি বেরোই ', ততবার বিপাশা এসে বলছে, 'প্লিজ, আরেকটু থাকো৷ 'সেদিন যখন প্রথম দেখা হল, দেখলাম ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে বিপাশাকে৷ আর ওর চোখে -মুখে একটা আনন্দ৷ আমায় বলল, 'তুমি যে এসেছো, তাতে সবচেয়ে খুশি হয়েছে আমার বাবা -মা '৷ আমারও সেটাই মনে হল৷ যতই হোক, বাঙালি মেয়ে৷ ওর বিয়ের রিসেপশনে কলকাতা থেকে কেউ যাওয়া মানে বিয়েতে আত্মীয় পৌঁছনোর মতো৷ বিপাশার বাবা বলছিলেন, আমাদের বাড়িতে 'সব চরিত্র কাল্পনিক'-এর ডিভিডি রয়েছে৷ সেটা আমরা মাঝে -মধ্যে চালিয়ে দেখি৷ আর বিপাশার বউ সাজে ছবিটা আমাদের বাড়িতে রয়েছে৷ ' বিপাশাকে সেদিন ওর যত বন্ধুরা ঘিরে ছিল তাদের অনেকেই বাঙালি৷ এমনকী ওদের বাড়িতে বারোমাস কাজ করেন যারা, তাঁদের অনেকেই বাঙালি৷ সবারই আমার সঙ্গে ছবি তোলার আবদার৷ সেদিন রাতে রিসেপশন পার্টি হওয়ার আগে একেবারে বাঙালি মতে বিয়ের নিয়ম-কানুন মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছে বিপাশা।
সূত্র: এই সময় 

Comments