ক্যান্সার চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাবে ইমিউনোথেরাপি: রোগী দেখবে আশার আলো

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগী দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্যান্সার থেকে সৃষ্ট টিউমারের বিরুদ্ধে হামলা করতে শেখানো হয়। এত ধ্বংস হয়ে  যায় টিউমার আর রক্ষা পায় রোগীর জীবন। নতুন এ চিকিৎসা পদ্ধতি লাখ লাখ ক্যান্সার রোগীর জীবন রক্ষা করবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।

কেমোথেরাপি আবিষ্কারের পর আর ক্যান্সার চিকিৎসায় এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আর ঘটে নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে   ইমিউনোথেরাপি নামের এ নতুন ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমোথেরাপির স্থান দখল করবে। ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেহে কোনো সংক্রমণ ঘটলে বা ক্যান্সার দেখা দিলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আছে। কিন্তু কোনো কোনো টিউমার নিজেদের চারপাশে প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করে। ফলে দেহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কেমোথেরাপি বা অন্যান্য ওষুধ অকার্যকর হয়ে যায়।

ইমিউনোথেরাপির মধ্য দিয়ে টিউমারের এ প্রতিরক্ষা বেষ্টনী ভেঙ্গে ফেলা হয়। টিউমারের বিরুদ্ধে হামলার করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় দেহকে। ইমিউনোথেরাপির অংশ হিসেবে দেহে ওষুধ কয়েক সপ্তাহ পর পর দিতে হয়।  ফুসফুস ও ত্বক ক্যান্সারসহ কিডনি, মূত্রাশয়, মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সারে এ চিকিৎসা পদ্ধতি দারণ ভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। আগ্রাসী ও প্রাণঘাতী হিসেবে পরিচিত ক্যান্সারের অন্যতম এ গুলো। শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্লিনিক্যাল অনকোলজির সম্মেলনে এ চিকিৎসা বিষয়ক ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে।

কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। একই ভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত নয় ইমিউনোথেরাপি। তবে কেমোথেরাপির মতো ভয়াবহ নয় এ সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

Comments