‘৫ নিয়ম মেনে চলুন: শ্রান্তিবোধ দূর করে দেহমনে চাঙ্গা হয়ে উঠুন’

দেহমনের চরম শ্রান্তির কথা অনেকেই বলে থাকেন। বহুমূত্র, হৃদরোগ, থাইরয়েড সমস্যা, আর্থরাইটিসসহ নানা অসুখ  দিনরাত ২৪ ঘণ্টার জুড়ে এমন শ্রান্তির কারণ হতেই পারে। অসুখ এর কারণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ শুনতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

কিন্তু সাধারণ ভাবে সব সময় শ্রান্তিবোধকে মোটেও জৈবিক দিক থেকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। এ জাতীয় শ্রান্তিবোধ আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে কালো ছায়া ফেলতে পারে। চাকরি, পারিবারিক জীবন, বন্ধু-বান্ধবের সংসর্গসহ জীবনের সব অংশেই প্রভাব পড়তে পারে এর বিরূপ।

এবারে প্রশ্ন উঠতেই পারে, আচ্ছা এমন শ্রান্তিবোধ থেকে কি নিষ্কৃতি নেই? শ্রান্তির এ জোয়াল কি ঘাড় থেকে নামবে না? সৌভাগ্যক্রমে এমন প্রশ্নের ইতিবাচক জবাবই দিবেন চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞরা। কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে সীমাহীন এ শ্রান্তিবোধের অন্ধকার বলয় থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। সম্ভব আবার চাঙ্গা এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠা। তা ছাড়া,  এ সব পদ্ধতির কোনো কোনোটি অকালে বুড়িয়ে যাওয়াকেও ঠেকাতে পারে।

নিচে এ রকম পাঁচটি পদ্ধতি বাৎলে দেয়া হল, মেনে দেখুন উপকার পেতে পারেন। তবে বিজ্ঞ চিকিৎসক যদি আপনাকে কোনো সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন তবে তাই মেনে চলবেন। সে ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা মোটেও ঠিক হবে না।

সর্বদা তৎপর থাকুন: শ্রান্তিতে আচ্ছন্ন দেহমনে কারোই ব্যায়াম করার ইচ্ছা থাকে না। এটি স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু  অনেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেহকে তৎপর রাখা হলে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর চাঙ্গা ও চনমনে হয়ে ওঠে। শক্তিতে ভরপুর এবং সতেজ থাকে শরীর। সাইকেল চালান, দৌড়ান, সাঁতার কাটুন, দ্রুততাল হাঁটুন বা শারীরিক কসরত হয় পছন্দনীয় এমন কিছু করুন। দেখবেন ঝরে গেছে শ্রান্তিবোধ।

পর্যাপ্ত পানি খান: পেট্রোল ছাড়া গাড়ি চলে না, ঠিক এক ভাবে পর্যাপ্ত পানির অভাব হলে অচল হয়ে পড়বে দেহ-গাড়ি। পানির টান পড়লে শরীর কেবল শক্তিহীন হয় না; বরং দৈহিক তৎপরতায়ও বিঘ্ন ঘটে।  একই সঙ্গে মানসিক সতর্কতা ঠিলা হয়ে যায়। মন বসানোর ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই নিজেকে চাঙ্গা এবং সতেজ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পানি খান।

পর্যাপ্ত ঘুমান: পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি শ্রান্তিবোধের অন্যতম প্রধান কারণ। এমন ঘাটতি দেহের ক্ষয় বা স্বাস্থ্যহানি ঘটাতেও পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের মধ্য দিয়ে দেহ প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে উঠবেই।  একই সঙ্গে  আপনি সতেজ এবং সতর্কও থাকবেন দিনভর।

দিনে অনেকবার খাবার খান এবং ঠিক খাবার খান: একবারে পেটপুরে খাবার খাবেন না। বরং প্রধান খাবারকে ভাগ করে নিন এবং দিনে কয়েক বার খান। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য হবে। এ ছাড়া, নিজের জন্য পূর্ণ শস্যদানা এবং জটিল শ্বেতসার জাতীয় খাবার বেছে নিন। আর হ্যাঁ সকালের নাস্তাকে গুরুত্ব দিন। ঠেসে নাস্তা খেয়ে দিন শুরু করুন। তাতে দিনভর চলার শক্তি জুটবে; দূর হবে শ্রান্তিবোধ। নাস্তাকে এড়িয়ে যাবেন না বা হালকা নাস্তা পারতপক্ষে খাবেন না।

Comments